প্রকাশিত: Wed, Jul 5, 2023 10:47 PM
আপডেট: Mon, Jun 30, 2025 1:19 AM

[১]ডেঙ্গু প্রতিরোধে ঢাকা উত্তর সিটির ড্রোন অভিযান [২]এডিস মশার লার্ভার নিধনে তথ্য চেয়েছে দক্ষিণ সিটি

মাজহারুল মিচেল: [৩] ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েই চলছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানায়, চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬২ জন। 

[৪] কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ ডা. মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম জানান, বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৮২ জন। আর ঢাকার বাইরে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বাকি ২০২ জন।

[৫] এডিস মশার লাভা ধ্বংস করতে পদক্ষেপ নিয়েছেন ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন। 

[৬] ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা আমাদের নতুন সময়কে জানান, নগরীর মোহাম্মদপুর থেকে ড্রোনের সাহায্যে ছাদ বাগানে এডিস মশার প্রজননস্থল চিহ্নিতকরণের লক্ষ্যে বুধবার সকাল থেকে সার্ভে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। 

[৭] তিনি জানান, আগামী ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে ৫টি ড্রোনের সাহায্যে সকল বাড়ির ছাদকে সার্ভের আওতায় আনা হবে। এডিস মশার প্রজননস্থল চিহ্নিত করে সেগুলোকে ধ্বংস করা হবে।

[৮] এডিস মশার প্রজননস্থল কিংবা লার্ভা পাওয়া যেতে পারে এমন স্থান ও স্থাপনার তথ্য দিয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা চেয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

[৯] ডিএসসিসি’র সিইও মো. মিজানুর রহমান বলেছেন, সরকারের একার পক্ষে এ প্রভাবকে আটকানো সম্ভব নয়। নগরবাসীকে বলতে চাই, কাজ শেষে পানি যেন এক দিনের বেশি জমিয়ে না রাখা হয়। প্রতিদিনের পানি প্রতিদিন পরিষ্কার করলে এডিস মশার লার্ভা বংশবিস্তার করতে পারে না। এ বিষয়ে আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে। এছাড়া ডেঙ্গু প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।

[১০] ডিএনসিসি’র  প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ.কে.এম শফিকুর রহমান বলেন, ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, আমরা সেই রোগীদের ঠিকানা নিয়ে বাসার ৪০০ গজের এলাকা ধরে প্রতিষেধক ঔষধ ছিটিয়ে দেই। 

[১১] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু সংক্রমণের প্রি-মনসুন সার্ভের ফল অনুযায়ী ঢাকা মহানগরের ৪৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ বহুতল ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২০ দশমিক ০৪ শতাংশ এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ বাড়িতে ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে।

[১২] ডিএসসিসি’র প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. ফজলে শামসুল কবির বলেন, যাত্রাবাড়ি ও জুরাইনকে খুবই বিপদজনক এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব